আকিব জাভেদ (CSE 15) এর ঘটনা

কুয়েট ফুটবল হল ট্যুর্নামেন্টের একটা “কালো অধ্যায়” । আমি কাজী আকিব জাভেদ সি এস ই ২ক১৫।

একটু সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দিয়ে শুরু করি।

২০১৬ সালে কুয়েটে অনেক উৎসাহ নিয়ে ভর্তি হই সি এস ই ডিপার্টমেন্টে(ব্যাচ ২কে১৫)। এসেই একটা হল ট্যুর্নামেন্ট পাই। তখন একুশে হলের ম্যানেজার ছিল পরিমল দাদা। অভিষেক ম্যাচ ছিল নামমাত্র। অলরেডি একুশে হল বাদ প্রতিযোগিতা থেকে। পরের ফুটবল হল ট্যুর্নামেন্টে ২০১৭ সালে আমি হলের ভাইস-ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলি। এই ট্যুর্নামেন্ট রশিদ হল ও লালন শাহ হলের মধ্যে মারামারি হয়ে বন্ধ হয়ে যায় এবং DSW থেকে আর কখনো ফুটবল ট্যুর্নামেন্ট না করার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু পরিশেষে ২০১৯ সালে আবার সেটা OKS এর হাত ধরে DSW এর অনুমতি সাপেক্ষে বিভিন্ন শর্তে চালু করা হয়। যেখানে পূর্ববর্তী শিক্ষা থেকে অনেকগুলা রুলস এন্ড রেগুলেশন এড করে শুরু করা হয় মহান ফুটবল হল ট্যুর্নামেন্ট ২০১৯।

তো যাই হোক মূল কথায় আসি।

এই ট্যুর্নামেন্টের দুইটা উল্লেখযোগ্য ম্যাচ যার প্রথমটা হলো লালনশাহ হল বনাম বঙ্গবন্ধু হল। এই ম্যাচের একটা পর্যায়ে বাফুফের রেফরিরা আক্রমণের স্বীকার হয়। পুরা ঘটনাটা কেউ চাইলে কমেন্টে খোলাসা করতে পারেন। তো যাই হোক রেফরিরা আর কখনো ম্যাচ পরিচালনা করতে আসবেনা বলে দিয়েছিল। তাই এই হল ট্যুর্নামেন্ট এখানেই শেষ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সকল হল ম্যানেজার ও হল কমিটির সদস্য মিলে আর এমন হবে না এবং হলে দায় সকল ম্যানেজার, প্লেয়ার ও কমিটির সদস্যের উপর বর্তাবে এমন লিখিত পেয়ে বাফুফের রেফরিরা খেলা পরিচালনা করার মত দেয়। যথারীতি পরের ডু অর ডাই ম্যাচ বহুল কাঙ্ক্ষিত একুশে হল বনাম রশিদ হল।

বলে রাখা ভাল একুশে হলের মোস্ট সিনিয়র ব্যাচ ২ক১৫ যার ক্যাপ্টেন হিসেবে হল কমিটি আমাকে সাজেস্ট করে। তবে সেই সময় একজন কুয়েটের কিংবদন্তি প্লেয়ার আরিফ রিফাত ইইই ১৫ আমাদের একুশে হলে ছিল। তো আমি দায়িত্ব পেয়ে ঘোষণা দিলাম ক্যাপ্টেন আমরা সবাই, যেখানে এক এক ম্যাচ এক এক প্লেয়ার ক্যাপ্টেন হত। তবে এই লাস্ট ম্যাচে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে ক্যাপ্টেন্সি দেয়া হয়।

তো ম্যাচ শুরু হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে আমি একটা গোল করি যেটা অফ সাইডে ক্যান্সেল হয়। খেলা চলতে থাকে কোন বাধা ছাড়ায় । পুরো কুয়েট তখন মাঠে। ড্র করলে একুশে হল সোজা বাড়ী। খেলা ড্র হল একুশে হল বাদ পড়লো এবং কুয়েট নতুন কালো অধ্যায়ে পা দিল। একুশে হলের প্রায় শ খানেক বা তার বেশি ছেলেপেলে(প্লেয়ার + দর্শক) শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে তিনজন রেফরিকে আক্রমণ করে এবং তাদের মধ্যে তৎকালীন বাফুফের সিনিয়র মোস্ট রেফরীর মরার মত অবস্থা হয়।

এইটার মধ্যে আবার একুশে হল আর ফজলুল হক হল মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এবং এই মারামারি কি কারণে হয় আমি আজও জানি না। তবে এমন খারাপ অবস্থা যে দুই হল একে অপরের হলের জানালয় ইটপাটকেল মেরে সব ভেঙ্গে ফেলে। আরও শুনেছি নাকি বোতলে কেরোসিন ভরে দুই হলের ছাদ থেকে মারা হয় যেটা আমি চোখে দেখিনি। এর সত্যতা আমি সঠিক জানি না।

তো হলে ফেরার পথে অনেককে যাদের আমি চিনি না, যারা রশিদ হলের সামনে বসে ছিল আমাকে ডেকে বলে এভাবে রেফরিকে কেউ মারে? আমিতো জাস্ট আকাশ থেকে পড়েছিলাম। ম্যাক্সিমাম পলিটিক্যাল আমাকে ডেকে যাত্রাপথে বলে কিরে তুই নাকি রেফরিকে মেরেছিস।

আমি এক কথায় উত্তর দিয়ে হলে চলে আসি যে আমি মারি নি। আর সবার কাছে জিজ্ঞেস করি কই থেকে জানলি। কিছু ছেলেপেলে বলেছিল সুইট ভাই দেখেছে তার কাছে ভিডিও আছে। আমি তাদের বলছিলাম ভিডিও থাকলে আর চিন্তা নাই আমি ওর আশেপাশেও ছিলাম না। আবার কয়েকজন বলে সবুজ ভাই দেখেছে। এই খেলা পাগল দুই জনের নাম শুনে আমি খুবই হতাশ হই যে এই দুইজন এমন কথা বলল কিভাবে!!! আমি তাদের ফোন করি। তারা দুইজন বলে এমন কিছু তারা দেখেনি আর বলেও নি। এই পরিস্থিতিতে হল ভ্যাকেন্ট করে দেয়া হয়।

ওইদিকে কুয়েটের বিপক্ষে একটা মামলা করার কথা শোনা যায়, যেখানে শিক্ষক ছাত্ররা আসামীর কাঠগড়ায়। কিন্তু কোনভাবে স্যাররা সেটা প্রতিহত করতে সক্ষম হয় এবং রেফরিদের আস্বস্ত করেন এই বলে যে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে। আমি এইদিকে আমার পক্ষের স্বাক্ষী খুঁজতে থাকি যারা দেখেছে আমি কই ছিলাম, কি করেছিলাম। হল ভ্যাকেন্ট হবার পর সবাই যে যার বাসায়।

দুই এক দিনের মধ্যে কুয়েট থেকে ফোন আসে তদন্ত কমিটিতে ডাক পড়েছে আমি সহ অনেকের (ইইই ১৫ জাহিন, রিফাত; আইইএম ১৫ এর অধীর ইত্যাদি)। কুয়েট তখন বন্ধ। কিন্তু আমার হলের আইইএম ১৫ এর ফয়সাল তখন ক্যাম্পাসে। সে আমাকে আগের দিন ফোন করে করে বলে স্যারদের সামনে যাবার আগে তার সাথে দেখা করতে শুধু আমাকে না যারা তখন ছিল জাহিন রিফাত অধীর সবাইকেই। আমরা যাওয়ার আগে বাবু মামার চায়ের দোকানে বসলাম। সেখানে ফয়সাল আমাদের বলল দেখ তোরা কি আমারে দেখছিস মারতে? আমি বললাম না (আমি আসলেই ওকে মারতে দেখিনি তবে বাঁশি বাজার সাথে সাথে লাইন্সম্যানের দিকে দৌড় দিতে দেখেছিলাম)। ও বলল যে তোরা সবাই যদি বলিস একই কথা তবে কারো কিছু হবে না। আচ্ছা খুব ভাল কথা।

আরও অনেক কথা বলেছিল যাতে করে সবাই একই কথা বলে যে কেউ কিছু দেখেনি। তবে এক বড় ভাই সে সবসময় আমাকে আপডেট দিত যদিও সে শোভন ভাইয়ের (তৎকালীন ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট) এর কাছের একজন ছিল। আমি ছিলাম নন পলিটিকাল। সে ঐ দিন সকালে আমাকে লাস্ট আপডেট দেয় যদি পলিটিকাল ইনফ্লুয়েন্স থাকে তো আমার বাঁচার লাইন নাই (ক্যাম্পাস বন্ধ করে তদন্ত করবে আবার পলিটিক্যাল ইনফ্লুয়েন্স থাকবে না এ কথা পাগলে বিশ্বাস করবে না। ক্যাম্পাস খুলে দিলে তো পোলাপান সব বলে দিবে কে কি করেছে) ঐ আপডেট পাবার পর ঐ ফয়সালের সাথে চায়ের দোকানে মিটিং হয়। আমার মনে তখন কোন সৎ বিচার পাবার আশাই ছিল না।

সময় ঘনিয়ে এল, একে একে জেরা রুমে ঢোকে, আর বের হয়। সবাই বলে কি হইছে শুধু তাই জিজ্ঞেস করেছে। আমি শুনে চুপ রইলাম। এবার আমার পালা। নাম ডাকাতে আমার পা যেন আর সরেই না। আমি সর্বশক্তি দিয়ে এগোলাম ভেতরে। বিশাল বড় রুম, বড় টেবিলের সামনে একটা বসার চেয়ার। আমি সালাম দিয়ে বসলাম। তদন্ত কমিটিতে ইইই এর মোল্লা স্যার + সি এস ই আজাহার স্যার + মেকানিক্যালের/এই ই এম একজন স্যার নাম মনে নাই + খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্যার (সবাই যা বলল, কারণ কেউ জানেনা উনি কোন ডিপার্টমেন্টের)। শুরু হল রুদ্ধশ্বাস জেরা।

আজাহার স্যার আমাকে দেখে রীতিমত অবাক। সে বলল তুমি এখানে কি কর? স্যার আমাকে ডেকেছে। স্যার বলল তুমি আমাকে চিনো? জি স্যার। তাই ? জি স্যার। স্যার আর একটা কথাও বললেন না। এবার মোল্লা স্যার শুরু করল। তুমি তো রেফরিকে মেরেছ তাই না? না স্যার আমি তো ওর কাছেই ছিলাম না। না আমাদের কাছে প্রমাণ আছে ভিডিও আছে। আমি বললাম না স্যার আমি মারিনি আপনি ভিডিও ভাল করে দেখতে পারেন। স্যার বলল এই ভিডিওটা চালাও প্রজেক্টরে। দেখা গেল ভিডিওতে মারামারি গোলবারের কাছে আর আমি মাঝ মাঠে। স্যার বল ঐ যে তুমি। আমি বললাম স্যার আমি কি মারছি। স্যার বলে না তুমি পরে গিয়ে মেরেছো। আমি বললাম স্যার আমি ক্যাপ্টেন আমি মারলে পরে গিয়ে কেন মারব আমিতো সবার আগে থাকব। ভিডিওতে দেখে তারা আমাকে দোষী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হল। আমি বেশ কনফিডেন্স পেলাম। এবার একে একে জিজ্ঞের করে, তুমি কাকে কাকে মারতে দেখেছ। স্যার নাম বলল আইইএম ১৫ ফয়সাল, বিইসিএম ১৫ শোয়েব, লেদারের ১৪ এর তিলক ভাই আর সবাই আমার হলের। তো আমি শেখানো কথা মত বললাম না আমি কাউকে মারতে দেখিনি। এটা কিভাবে সম্ভব তুমি সামনে ছিলে কিন্তু কিছুই দেখোনি। আমি বললাম অনেক লোক ছিল স্যার, সঠিক দেখিনি দূর থেকে (মিথ্যা বলেছিলামঃ শেখানো কথা)। **আমি শোয়েবকে এম্বুলেন্সের ভেতর ঢুকে রেফরিকে মারতে দেখেছিলাম + আরও অনেক পোলাপান ছিল আমি তাদের চিনি না তাই নাম বলতে পারছি না । । অনুরোধ থাকল যারা যা দেখেছ/দেখেছেন এই পোষ্টে বলবেন। আমাকে মারতে দেখলেও বলবেন কোন সমস্যা নাই**। আমার কপাল পুড়ে গেল এখানেই। মোল্লা স্যার বললেন তুমি কাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছ? তোমার হলের সবাইতো তোমার বিরুদ্ধে বলে গেল। আমার চোখ দিয়ে নদী বইতে শুরু করলো। স্যার এবার ঢালাও ভাবে বলা শুরু করলেন তুমি তো আগেরদিন গেস্টরুমে সকলকে বলেছিলে হারলে মারামারি করতে। আর তুমি নিজেও মেরেছ। স্যাররা(আজাহার স্যার পুরা টাইম চুপ ছিলেন) এভাবে বলতেই থাকলেন, আর কোন কথা শুনলেন না বললেন যাও। আমার একে একে দুই মিলে গেল। আমি চোখ মুছতে মুছতে বের হলাম। আর আল্লাহকে বললাম কি আমার অপরাধ মালিক। বাসায় চলে গেলাম, আমার বাসা যশোর। আব্বা মা বাসায় কাঁদছে কিছুই করার নাই। কাকে বলবে কি করবে? আব্বা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল তুই যদি না মারিস তো তোর কিছুই হবে না।

এই তদন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে করা হয়েছিল যাতে সাধারণ ছাত্ররা স্বাক্ষী দিতে না পারে এবং সিলেক্টিভ লোকজনকে ডাকা হয়। কিছুদিন পর ক্যাম্পাস খুলে গেল। তারপর পর হঠাত সন্ধ্যায় খুব খোঁজাখুঁজি আমাকে। শুনতে পেলাম রায় দিয়েছে। ঠিক তার আগের দিন রাজু মারমা ভাই বলছিলেন জিম ঘরে ভাল কিছু আশা না করতে আর শক্ত থাকতে। তো হলে এসে শোয়েব আমাকে পাশে নিয়ে হল গেস্ট রুমে বসল, বলল খাম খোল, যথারীতি খুললামএবং দেখলাম দুই বছরের একাডেমিক আর হল বহিষ্কার। তবে জানতে পেরেছিলাম কোন প্রকার ভিডিও এভিডেন্স ছাড়া কাউকে সাজা দেয়া হয়েছিল না সেই সময়। অথচ আমার কোন ভিডিও ফুটেজ না থাকা স্বত্বতেও আমাকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। আর সব ছিল সিলেক্টিভ মানুষের মৌখিক স্বাক্ষী। **আচ্ছা আমিতো আমার মত বললাম** পাবলিক এই পোষ্ট যদি দেখে তারা কমেন্টে বলবে নো প্রবলেম। পরের দিন আম্মা আব্বা আসে ক্যাম্পাসে স্যারদের কাছে সুপারিশ করতে। কারণ আব্বা মোটেই মিলাতে পারছিলো না কেন এই সাজা আমাকে দেয়া হয়েছিল। একে একে ভিসি তারপর শীবেন স্যার সবাই যে ব্যাবহার আমার আব্বা মার সাথে করল আমার মনে হচ্ছিল আমি মরে যায় তখনই। আমার আব্বা ছিলেন আবসর প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সরকারী টি টি কলেজ, যশোর। শিক্ষক হয়ে আরেক শিক্ষকের কাছে এমন বেইজ্জতি আল্লাহ মাফ করুক কারো যেন দেখা না লাগে। এরপর গেলাম আমার ডিপার্টমেন্টে। আমি মা কে বললাম মা যেয়ে কোন লাভ নাই বাসায় রঊনা হন। বয়স্ক দুইজনের মানুষের সাথে এই ব্যবহার আমার আর সহ্য হচ্ছিল না। প্রথমে গেলাম তদন্ত কমিটির স্যার আজাহার স্যারের কাছে। স্যার আমাকে দেখে খুবই দুঃখিত মনে হল। তিনি আব্বা মার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করেন নি। তিনি বললেন দেখো তোমার এই শাস্তির কারণ আমাকে জিজ্ঞেস করো না আমি বলতে পারবো না। আমি তোমাকে এখন কি করণীয় তা বলে দিচ্ছি। তুমি দ্রুত হাইকোর্ট থেকে আদেশ নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসো। আর হেড স্যারের সাথে কথা বল তিনি যেন তোমাকে একাডেমিক কাজ চালাতে দেন। ততক্ষণ ডিপার্টমেন্টের সবাই জানে সবকিছু। তবে হেড স্যার আমাকে বললেন যে তুমি সব কিছু কনটিনিউ করো। এর নৈপথ্যে তৎকালীন কিছু শিক্ষক আসল ব্যাপার হেড স্যারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তো যাই হোক শুরু হল খুলনা টু হাইকোর্ট দৌড়াদৌড়ি। জুতা সব ক্ষয়, আমার রুমমেটরা জানে কি অবস্থা। অবশেষে এক্সাম শুরু হবার আগেরদিন হাইকোর্ট পরীক্ষা দেয়ার আদেশ দেন। আমার অনেক সিটি ল্যাবটেস্ট মিস হয় যেগুলা আমি বিভিন্ন সময় স্যারদের সহায়তায় দিতে পারি। যতদূর মনে পড়ে টোটাল ১৪ জনকে বহিঃষ্কার করা হইছিল যার মধ্যে আমি একমাত্র নন পলিটিকাল ছিলাম। আমার কেসটা আমি একাই লড়েছিলাম আর পলিটিকালদের সবার আলাদা একটা ফান্ড গঠন করা হয়েছিল কেস চলানোর জন্য। দুইটা কেস আলাদা তবে ইস্যু একই হওয়াতে হেয়ারিং একইসাথে হয়। তবে ওদের ফান্ডের ব্যাপারে আমি তেমন কিছুই জানি না।

শোভন ভাই(সিভিল ১০ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ছাত্রলীগ) একুশে হলের তার দুই ম্যান ফয়সাল ও শোয়েবকে বাঁচানোর জন্য এই কাজ করেছিল তা আমি সহ সবাই জানি আর এইটা ওপেন সিক্রেট। আমি যে পরিমাণ কঠিন সময় পার করেছি তা আর ভাষায় বলা সম্ভব না। সব ঠিক কাটিয়ে উঠে ব্যাচের সাথে বের হইতে সক্ষম হইয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। অন্যদিকে শোয়েব আর ফয়সালকে কিছু আর্থিক জরিমানা ছাড়া কিছুই করা হয় নি।

পরিশেষে আমার শিক্ষক ভাইব্রাদার সবাইকে অনেক শ্রদ্ধা যারা সেসময় আমার পাশে ছিলেন।

Other Incidents

2 Comments

Leave a Reply to droversointeru Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *