হারুনুর রশিদ তন্ময় (Leather 18) এর ঘটনা

আজকে শেয়ার করবো কুয়েট এ আমার সাথে ঘটে যাওয়া এক অমানবিক ঘটনা।

আমি Harun Ur Rashid (LE-18)

এই ঘটনায় যায়া সরাসরি যুক্ত তাদের তালিকা

  • Raihan LE 17
  • Bappy CE 16
  • Nahid BECM 17
  • Rhyme BECM 17
  • Shoishob EEE 17
  • Rifat BECM 17
  • Turzo LE 17
  • Mustakim Billah prachurjo BECM 17
  • এদের সাহায্যকারী হিসেবে ছিলো
  • Sanny BECM 17

(১)

২০২২ সালের ৩০ বা ৩১ মার্চ, সেদিন আমার হল (ড এম এ রশিদ হল) এর ১৬ ব্যাচের ভাইদের হল ফেয়ার ওয়েল অনুষ্ঠান, একই দিন হলে মান্থলি ফিস্ট ও হচ্ছিলো। বিকেলেই হল থেকে বলা হয় সবাই যেনো SWC এর সেমিনার রুমে থাকে ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠান থাকতে হবে।

অইদিন আমার ডিপার্টমেন্ট এর ফুটসাল ও ছিলো আর আমার টিমের খেলাও পড়েছিলো। আমি প্রথমে চিন্তা করলাম আগে SWC তে যাই ফেয়ার ওয়েল অনুষ্ঠান এরপর মাঠে যাবো। বলাবাহুল্য হল কেন্দ্রিক বা রাজনৈতিক যত অনুষ্ঠান হয় সব গুলোতে এক প্রকার হলে যারা থাকি সবাইকে জোর করেই নিয়ে যাওয়া হয়। তো আমি সেমিনার রুমে গিয়ে বসি এক সময় রশিদ হলের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী Raihan (LE-17) আমার পাশে এসে বসে এবং আমার ফোন চায়।

আমি Facebook স্ক্রল করতেছিলাম তখন বসে বসে। আমি নরমালি তার হাতে ফোন দেই, (তখন ও বুঝতেছিলাম না কি হচ্ছে) সে আমার ফোন নিয়ে কাছে ফোন রেখে দেয়। আমি ফোন চাইলে সে বলে হলে গিয়ে তারপর ফোন দিবে আমাকে। মাঝে আমার ফোনে বেশ ক বার ফোন আসে মেইনলি ফুটসাল এর খেলা পড়েছিলো সে সময় আর আমাকে সেন্ট্রাল ফিল্ড থেকে ডাকতেছিলো।

কিন্তু রায়হান তাদের না করে দেয় যে আমার এখন যাওয়া যাবেনা। অনুষ্ঠান শেষ হবার পর আমাকে হলে নিয়ে আসা হয় হলের ১১৪ নাম্বার রুমে।

এরপর এক এক করে Rhyme BECM 17, Shoisob EEE 17, Nahid BECM 17, Rifat BECM 17, Turzo LE 17, Sanny BECM 17, Mustakim billah prachurjo BECM 17 এরা রুমে আসে। এরপর Raihan আমাকে সামনে দাড় করিয়ে বলে তুই শিবির করিস? ( বাকিরা বেড এর চারিদিকে বসা) আমি হুট করে এই ব্যাপার টা বুঝতে পারিনাই। এরপর বলি যে ভাই আমি কেনো শিবির করবো?

আমি কোনো রাজনৈতিক দলের আগে পিছে নাই। এসব আমি করিনা এরপর তারা বলে যে আমি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে লিখালিখি করি ফেইসবুক এ (বুয়েটের ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ এই টপিক এর নিউজ শেয়ার করছিলাম সে সময়ে) , ইসলামিক পোস্ট শেয়ার দেই হেনতেন। এরপর আমাকে Raihan Le17 বলে যে বল আমাদের জাতির পিতা কে? পাশ দিয়ে Shoishob (EEE-17) উচ্চস্বরে চিল্লাছিলো আর বলতেছিলো চুপ কেনো আছি।

এই Shoishob কে যারা চিনে তারা জানে যখন আমরা first ইয়ার এ ছিলাম এর র‍্যাগিং ছিলো সব থেকে বিছ্রি লেভেল এর৷ ইভেন সেকেন্ড ইয়ার এ উঠার পর ও তাকে সালাম না দেওয়ার জন্য ঝাড়ি খাইতে হইছে।

ঠিক অই সময় Mustakim billah prachurjo (BECM 17) একটা স্ট্যাম্প এনে আমার গলায় চেপে ধরে বলে বলিস না কেনো? আমি তখন বলি যে ভাই বাঙ্গালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

এরপর Rifat BECM 17 আমাকে বলে তোর চুল দাড়ি বড় কেনো? আমাকে বলে তোমাকে অনেক দিন ধরে টার্গেট এ রাখছি। এক সময় Rifat BECM 17 আমাকে বলে আমি কেনো আওয়ামী লীগ এর পেজ ফলো করিনা কেনো ছাত্রলীগের পেজ ফলো করিনা। রায়হান কবে কোথায় গাছ লাগাইছে সেসব এর পোস্ট এ কেনো লাভ রিয়েক্ট দেইনাই এইসব লেইম যুক্তি হাজির করে আমাকে দোষারোপ করতে থাকে, আর এর পাশ থেকে Mustakim billah prachurjo (BECM 17) এক প্রকার কুকুরের মত চিল্লাতে থাকে।

এর সাথে আরেক কালপ্রিট Nahid BECM 17 আমাকে বলে তার সামনে দিয়ে নাকি কবে হেটে গেছিলাম ওরে দেখে সালাম দেইনাই। আমি অস্বীকার করলে সব ক টা কুকুরের মত চিল্লায়ে বলে, ” তাহলে কি তোর ভাই মিথ্যা বলতেছে?”।

যারা রশিদ হলে আমাকে চিনে সিনিয়র থেকে ব্যাচমেট বা জুনিয়র তারা জানে আমি কিভাবে চলতাম। এরপর এভাবে ১৫-২০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে। এরপর সবাই রুম থেকে বের হয়ে যায়। যাবার আগে আমার Laptop আমার রুম থেকে নিয়ে যায়, Password সহ। আমার ফোন সেমিনার রুম থেকে নেয়ার পর থেকেই Raihan এর কাছে ছিলো।

ঠিক আনুমানিক ২০-২৫ মিনিট পর Sajedul kabir bappi CE 16 এর সাথে আবার সবাই আসে। বাপ্পি আমাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে জিজ্ঞেস করে যে তোমাকে এখানে কেনো এনেছে, আমার কি দোষ? আমাকে তারা মেরেছে কি না? আমি বলি যে ভাই আমি কিছু জানিনা উনারা আমাকে শিবির বলে অভিযোগ দিচ্ছে এই কথা শেষ না হতেই Bappi আমার গালে সজোরে থাপ্পড় মারে একই সাথে আমাকে টেনে হিচড়ে ফ্লোরে ফেলে দেয় সাথে Billah, Turzo, Raihan, Rifat, Rhyme, Shaishab, Sani এরা এলোপাতাড়ি লাথি ঘুসি মারতে থাকে কন্টিনিউয়াসলি। অই মূহুর্তে আমার ঠোট ফেটে যায়।

এরপর আমাকে তুলে বসিয়ে জিজ্ঞেস করে যে বল কুয়েট এ আর কে কে শিবির করে, একই সাথে Raihan কয়েকটা থাপ্পর মেরে বলে যে বল স্বীকার কর তোকে ছেড়ে দিবো। আমি বার বার বলতে থাকি যে ভাই আমি শিবির করিনা এসবের কিছুই জানিনা। একটা করে কথা জিজ্ঞেস করে আর একজন একজন করে এসে ঘুসি বুকে লাথি মারতে থাকে।

আবার Bappi বলে যে বল কে কে কুয়েট এ শিবির করে তাহলে ছেড়ে দিবে আমাকে, আমি জানিনা বলতে আবার এই সব ক টা এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি মারতে থাকে এক পর্যায়ে Raihan একটা স্ট্যাম্প বের করে Bappi রে দিলে Bappi বলে যে তোর পা ভেংগে দিবো বল নাহলে। এ শুনে Raihan বলে আমি নাকি হলের ফ্রেন্ড জুনিয়র এদের শিবির করতে ইন্ধন দিতাম।

এসব বানোয়াট এলিগেশন দিতে থাকে আমার প্রতি। আমি জানিনা বললে তারা আমাকে তুলে দাড় করিয়ে আবার মারতে থাকে। এভাবে কতক্ষন চললো সঠিক মনে নাই। অইদিন হলে মান্থলি ফিস্ট চলে সম্ভবত তখন লাস্ট ব্যাচের খাওয়া শেষ হয়ে গেছে রাত আনুমানিক ১০ টার মত হবে।

আমাকে নিয়ে আসা হয় আমার রুম ১১৭ তে। এসে সব রুমমেট যারা ছিলো সবাইকে ঝাড়ি দিয়ে রুম থেকে বের করে দেয় Bappi. এরপর আমার বেড উল্টিয়ে পালটিয়ে তারা তল্যাশি চালায়। আমার ব্যাগ বই পত্তর সব দেখে। কিন্তু তারা কিছু পায়না। আমার রুমে যেসব বই ছিলো তার মধ্যে হল থেকে নেয়া ২ টা বই ছিলো কারাগারের রোজনামচা, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আর রাহিকুল মাখতুম অইটা বাসা থেকে নিয়ে আসা।

অনেকে জানেন আর রাহিকুল মাখতুম সিরাত গ্রন্থ। অই বই উল্টায়ে সূচিপত্র দেখে Rifat BECM 17 বলে এই দেখ যুদ্ধের কাহিনি, এই ত জঙ্গি। এসব বলে তারা আর কিছু না পেয়ে আমাকে নিয়ে যায় রশিদ এর গেস্ট রুমে। অই সময় সেন্ট্রাল এ আমরা ক্রিকেট খেলতাম, তো স্ট্যাম্প ব্যাট এগুলো আমার রুমেই থাকতো। ওরা আমার রুম থেকে স্ট্যাম্প নিয়ে আমাকে সহ গেস্ট রুমে নিয়ে আসে।

(২)গেস্ট রুমঃ

এরপর আমার উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। Raihan Le-17 আমাকে স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু আর বলতে থাকে শিবির করিস তুই। আমি বার বার বলতে থাকি যে ভাই আমি এসব করিনা এরা অপারগ। আমাকে ফ্লোরে শুইয়ে দিয়ে দুইজন হাত ধরে রাখে একজন পা ধরে রেখে পায়ের পাতায় পাইপ, স্ট্যাম্প দিয়ে এত জোরে মারতে থাকে আমি বলে বুঝাতে পারবো না।

এইভাবে আমাকে কয়েক দফায় পায়ের পাতায় স্ট্যাম্প পাইপ এসব দিয়ে মারা হয়। আমি কানতেছিলাম না দেখে Nahid , Rifat এরা এলিগেশন দিচ্ছিলো আমি ট্রেনিং পাওয়া জঙ্গি। Bappy অই সময়ে রশিদ হলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলো।

সে আমাকে একটা কাগজ আর কলম দিয়ে বলে যে লিখ কুয়েট এ কারা শিবির করে, আমি মিনতি করে বলতে থাকি যে ভাই আমি জানিনা বিশ্বাস করেন আমার এদের সাথে সম্পৃক্ততা নাই। এ শুনে ওই যাস্ট পাগলের মত আমার পিঠে হাতে কোমর এর নিচে স্ট্যাম্প দিয়ে মারতে থাকে, অইদিন আমার উপর সে একটা স্ট্যাম্প ভাংগে।

পাশ দিয়ে রিফাত BECM 17, নাহিদ BECM 17 আরো বাকিরা বলতে থাকে এই এর কিছুই হয়নাই এ ত খেলাধুলা করে এ নাটক করতেছে। একটা মানুষ যে ডিফেন্সলেস একে একটা রুমের ভিতর এমন ৮-৯ জন লোক কন্টিনিউয়াসলি স্ট্যাম্প পাইপ এসব দিয়ে হাতে পায়ের তালু কোমোর এর নিচে মারতেছে।

এসব এর পর আমি কিভাবে নাটক করি? আবার সবাই মিলে মাঝে মাঝে একসাথে লাথি ঘুসি দিতেছে কিন্তু দেখার কেউ নাই। বার বার আল্লাহ্ র কাছে সাহায্য চাচ্ছিলাম আর ফ্যামিলির মানুষ গুলার চেহারা ভাসতেছিলো চোখের সামনে। আব্বু আম্মু ত জানেনা তাদের ছেলের উপর দিয়ে কি যাচ্ছে অই সময়।

তাদের মারার সিস্টেম টা হচ্ছে মুখ এ দাগ যেনো না পড়ে বা শরির এর ভিজিবল পার্ট যেগুলো সেগুলোতে দাগ না পড়ার মত মারে আর হাত আর বিশেষ করে পা আর কোমোড় এর নিচে স্ট্যাম্প পাইপ রড এসব দিয়ে মারতে থাকে। মানুষ চোর ডাকাত হাতে পড়লেও এভাবে অমানুষিক অত্যাচার করেনা।

আমি হাটতে পারছিলাম না এসব দেখে তাদের সেই এক কথা নাটক করতেছি আমি। তাদের বার বার একি কথা কুয়েট এর কারা শিবির করে এসব তাদের কাছে স্বীকার করতে আমি বলি ভাই আমি এর কিছুই জানিনা আমার সাথে এসবের সম্পৃক্ততা নাই। এসব না শুনলেই তারা (অভিযুক্ত সবাই ) মিলে আমাকে ফ্লোরে ফেলে মারতে থাকে।

এক সময় Raihan একটা রড নিয়ে আসে বাইরে থেকে আমাকে মারার জন্য। তখন সবাই নিষেধ করে। এরপর ও Raihan থামে না সে প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে আমাকে পাইপ দিয়ে হাতে আর রানে মারতে থাকে আমি ফ্লোরে পড়ে যাই, এর পর সে থামে।

আমাকে বলা হয় যে সত্যি করে বলতে কুয়েট এর কোন হলে কারা শিবির করে আমি যেনো তাদের জানাই , Billah, nahid এরা বলে যে আমি শিবির এর কোন পদে আছি এসব জিজ্ঞেস করে আমি অস্বীকার করলে এরা এসে সাথে Bappi সাথে করে Raihan কে নিয়ে আমাকে আবার টেনে হিচরে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে পাইপ স্ট্যাম্প দিয়ে মারতে থাকে টান দেবার সময় আমার পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে একদম (হল ফেয়ারওয়েল থাকার জন্য পাঞ্জাবি প্ড়া ছিলাম) আমি মার গুলো হাতের উপর নেবার চেস্টা করলে Raihan আমার হাত পিছনে রেখে কাপড় দিয়ে পেচিয়ে রাখে এরপর আবার মারে।

এভাবে পালাক্রমে আমাকে মারতে থাকে সবাই । এক সময় Bappi আর Raihan বাইরে যায় সাথে Nahid , Rifat এরাও বের হয়ে কিছুক্ষন পর এসে বলে যে পুলিশ এ ফোন দিছে খান জাহান আলী থানা থেকে আসতেছে পুলিশ। এরপর আমি পানি খাইতে চাইলে এরা পানি দেয়। বাইরে বের করার আগে আমাকে একটা ফুল হাতা জার্সি দেয়া হয় পরার জন্য।

(৩)

গেস্ট রুম থেকে বের হবার পর সামনে অনেক ব্যাচমেট দেখতে পারি , Sowmik EEE-18 আমার বন্ধু আমার এ অবস্থা দেখে কান্না করে দেয়। পুলিশ আসে সে সময়ের হল প্রভোস্ট স্যার DSW স্যার আসে। আমাকে নিয়ে হল অফিস এ এ নিয়ে যাওয়া হয় । তখন রাত প্রায় ২ টা পার হয়ে গিয়েছে।

হল অফিস এ আমাকে নিয়ে বসিয়ে রাখা হয় ,পুলিশ এর কাছে এরা সব কিছু বলে আমাকে শিবির জঙ্গি এসব ট্যাগ দিয়ে অভিযুক্ত করতে থাকে। পুলিশ সব দেখে বলে যে এসবের জন্য ত আমাকে নেয়া যাবেনা কোনো প্রমান নাই তাদের কাছে, তারা নিতে চায়না আমাকে ,কারন তারা কোনো ভ্যালিড রিজন দেখাতে পারেনি । এরপর Bappy স্যার দের বলতে থাকে যে স্যার একে হয় পুলিশ এ দেন নইলে বাকি হল গুলাতে জানাবে এরা এরপর কিছু হলে দায় থাকবে না।

স্যার দের এক প্রাকার বাধ্য করেই একটা লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমাকে জোর করে জঙ্গি সাজিয়ে এরা পুলিশ এর কাছে দিয়ে দেয়। আমার হাটতে হাত পা নাড়াতে প্রচুর কষ্ট হচ্ছিলো ।পুলিশ তাদের দিকে একবার বলে যে এভাবে কেউ মারে? ওরা বলে আমাকে মারেনি তেমন এরপর এক পুলিশ আমার জার্সি খুলে দেখে কাধের পিছনে বেশ কয়েক যায়ায় ফেটে গিয়ে হালকা ব্লাড বের হচ্ছে আমার বাম হাতের তালু ফেটে ব্লাড বের হচ্ছিলো। এসব দেখে পুলিশ আমাকে নিয়ে যেতে চায়না কিন্তু এক প্রকার জোর করে স্যার দের দিয়ে অভিযোগ লিখানো হয়। তারপর পুলিশ আমাকে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।

লাস্টে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময়

Anik EEE 17 (Fazlul) আমার কানের কাছে এসে বলে ” বন্দুক চালাইতে পারো? “

এই কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। এরপর পুলিশ আমাকে নিয়ে আগে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায় ,অই রাতে কোনো ডাক্তার ও ছিলো না ,আমাকে এক নার্স শুধুমাত্র ব্যাথা কমানোর একটা ইনজেকশন দেয়। এরপর সকালে বাসায় ফোন দিয়ে জানানো হয় । আমাকে কোনো মামলা দেয়া হয়নি , আমার বাবা আর চাচা রা আসে উনারা এসে কথা বলে আমাকে অভিযোগ দেয়ার মত তাদের কাছে প্রমান না থাকায় আমাকে কোর্টে দিতে পারেনি।

এই ঘটনার পর আমি ক্যাম্পাসে আসি হলে আমাকে থাকতে দেয়নি । বাইরে মেস এ ছিলাম আমি , আমার ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না আব্বু ছিলো এক মাত্র উপার্জন করা ব্যাক্তি। আমি এর আগে টিউশন করাতাম এই ঘটনার পর সব টিউশন ও চলে যায়।

আমাকে অই সময় বাইরে কতটা কষ্ট করে চলতে হয়েছে যারা আমাকে কাছ থেকে দেখেছে তারা জানে। না ছিলো টিউশন না ছিলো অন্য কোনো উপায় অনেক টা ধার করে আমাকে অনেক দিন চলতে হয়েছিলো। আমার কোনো বন্ধু আমার সাথে কথা বলতে পারতো না । যারাই কথা বলতো তাদের সন্দেহের তালিকায় রেখে দিতো।

আমি এই ঘটনার পর এক প্রকার আইসোলেটেড জীবন কাটাইছি কুয়েট ক্যাম্পাস এ। একি হলে থেকে এরা আমার উপর এমন অমানবিক নির্যাতন করতে পারবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি কখনো। কথার কথা ধরে নিলাম আমি শিবির করি , যদি অপরাধ করেও থাকি তাহলে কুয়েট প্রশাসন ছিলো আমাকে তাদের হাতেই বিচারের ব্যাবস্থা করতো। আমাকে অমানুষ এর মত মারলেন কেনো আপনারা? , কেনো আমার সাথে আমার পুরো ফ্যামিলি সাফার করলো?

Other Incidents

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *